রাজাবাড়ী অনার্স ও ডিগ্রি কলেজ ক্যাডেট কলেজ বাস ষ্ট্যান্ড, হাটুভাঙ্গা রোড, মিল গেইট, সোহাগপুর, ধেরুয়া এসব ষ্টেশনে মির্জাপুর কলেজে এবং করটিয়া সা’দৎ কলেজে যাওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকত। বাসের চালক এসব ষ্টেশনে ছাত্র-ছাত্রীদের দেখলে হয় পিছনে না হয় আগে/সামনে যাত্রী উঠানো বা নামানোর জন্য থামত। ছাত্ররা দৌড়িয়ে গিয়ে ঝুলেঝুলে মির্জাপুর বা করটিয়া যাতায়াত করত। অধিকাংশ সময় ছাত্রীরা বাসে চড়তে না পারায় তাদের বাড়ী ফিরে যেতে হত। এ ছাড়া মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটত। ঐ খবর শুনে ছাত্র-ছাত্রীদের মা বাবা বাড়ীতে সঠিক খবর না পাওয়া পর্যন্ত খুবই দুশ্চিন্তায় কাটাতেন। কোন কোন সময় দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিতেন। এসএসসি পাশের পর চতুর্দিকের প্রায় ১৫/২০ টি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পায়ে হেঁটে বাড়ী থেকে রাজাবাড়ী কলেজে পড়াশুনার জন্য যাতায়াত করতে পারে- এজন্য হাটুভাঙ্গা হতে দেওহাটা পর্যন্ত ২৬ টি ইট খোলার ইট অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করে, গোড়াইতে শিল্পকারখানার মালিকদের অনুদান নিয়ে, এলাকার সামাজিক ক্লাবগুলোর কাছ থেকে অনুদান নিয়ে, শিক্ষানুরাগী ও ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্গের অনুদান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়গনের নিকট হতে পরিষদের অর্থ অনুদান নিয়ে, হলিদ্রাচালা, বিশারচালা, রনারচালা, বটটেকী, ফলিমারা, বেজের চালার লোকজনের নিকট থেকে ছোট ছোট গাছ- বাঁশ অনুদান নিয়ে ১২২র্র্২-র্র্০র্ ফুট লম্বা ২র্১-র্র্র্র্০র্ ফুট প্রশস্ত ১৫ (পনের) কক্ষ বিশিষ্ট ৩ (তিন) তলা ভবন নির্মাণ করে ১ (এক) তলা ভবন নির্মাণের পর ২০০৪ সালে কলেজ শুরু করা হয়। ৩০/৯/২০০৪ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা থেকে কলেজে পাঠদানের অনুমতি পাওয়া যায়। ১৯৯৭ ইং সনে শিশু কানন কিন্ডার গার্টেন নামে স্কুল, ১৯৬৫ ইং সনে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯৬৮ ইং সনে রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাসারী/প্রি-প্রাথমিকে একটা ছোট্ট শিশুকে ভর্তি করে এখান থেকে যেন সর্বশেষ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বের হয়ে যেতে পারে এজন্য এবং করটিয়া যাতায়াতের বিরম্বনা দুর করার জন্য সরকারী ভবন নির্মিত হওয়ার পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিগ্রি এবং অনার্স অধিভুক্ত গ্রহন করে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে পাঠদান শুরু করা হয়। আগামী শিক্ষাবর্ষে কমপক্ষে ২ (দুই) বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেনীর জন্য আবেদন করা হবে।
মো: মিয়াজ উদ্দিন
প্রতিষ্ঠাতা